নওগাঁ, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা যার নিজস্ব একটি স্বকীয় পরিচয় রয়েছে। এই জেলাটি তার ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্বাদিষ্ট খাবারের জন্য বিখ্যাত। নওগাঁর মাটিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাচীন মন্দির, মসজিদ এবং ঐতিহাসিক সব নিদর্শন। এই জেলার লোকসংস্কৃতিও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিভিন্ন ধরনের লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য এবং হস্তশিল্প এই জেলার সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
নওগাঁর আরেকটি গর্ব হলো এর সুস্বাদু খাবার। এই জেলার লোকেরা বিভিন্ন ধরনের স্বাদিষ্ট খাবার তৈরি করে থাকে। বিশেষ করে, নওগাঁর মিষ্টি এবং তৈরি খাবারের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসে। এছাড়াও, নওগাঁর হাট-বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল, শাকসবজি এবং মসলা।
নওগাঁর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অনন্য। এই জেলার নদী-নালা, জলাশয় এবং বন-জঙ্গল দর্শনার্থীদের মন মাতিয়ে তোলে। বিশেষ করে, নওগাঁর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং প্রাণী দেখা যায়।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, বিখ্যাত খাবার, লোকসংস্কৃতি এবং জনপ্রিয় অন্যান্য বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পড়ুন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় টুলস গুলো সংগ্রহ করুন Deshi Solution থেকে।
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নওগাঁ জেলা, রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক গুরুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে এটি "এ" শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত। ভৌগোলিকভাবে নওগাঁ জেলা বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির একটি অংশ এবং বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তের সংলগ্ন অঞ্চল। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত নওগাঁ মহকুমা হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলটি পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। নওগাঁ জেলাটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক দিয়েও কম এগিয়ে নেই। পরীক্ষার ফলাফলও ভাল। নিম্নের তথ্যগুলি Info Of Bangla, Trust In Bongo বা আজকেরবঙ্গ ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরি BD Govt Job বা jobpostbd এবং জাতীয় পরিচয়পত্র চেকের জন্য আমাদের নওগাঁ জেলায় অনেক সাইট রয়েছে, যেখান থেকে আপনিও আবেদন এবং সার্কুলার দেখে নিতে পারেন।
নওগাঁ জেলায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এসব স্থান ভ্রমণ করতে আসে। এছাড়াও, দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও পর্যটকরা বাংলাদেশ আসলে নওগাঁ জেলায় ভ্রমণ করে। নওগাঁ জেলায় শুধু দর্শনীয় স্থানগুলো নেই, এসব দর্শনীয় স্থানের ইতিহাসও জড়িয়ে আছে। এছাড়াও এ জেলায় অনেক স্কুল কলেজ রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের সকল স্কুল কলেজ থেকে ভাল পড়াশুনা হয় বলে প্রামাণ রয়েছে।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর নামের একটি তালিকা অনলাইনের বিভিন্ন খবরের সাইট থেকে সংগ্রহ করে নিম্নে সংযুক্ত করা হলো-
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
কুসুম্বা মসজিদ
ইসলামগাঁথী প্রাচীন মসজিদ ও মঠ
বলিহার রাজবাড়ী
শালবন
হলুদ বিহার
উপরোক্ত তালিকায় উল্লেখ করা দর্শনীয় স্থানসমূহ ছাড়াও নওগাঁ জেলায় আরও অনেক জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে। উপরোক্ত তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া নওগাঁ জেলার এসব দর্শনীয় ঐতিহাসিক জায়গা নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
নওগাঁ জেলা ভ্রমণ করতে চাইলে নওগাঁ জেলা যাওয়ার পর এসব দর্শনীয় স্থানে যেতে পারবেন। যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করার সময় আপনার ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই সাথে রাখবেন। কারণ, বিভিন্ন সময় এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড হয়েছে কিনা জানার জন্য ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন। ভোটার আইডি চেক করার জন্য আপনার ইন্টারনেট কানেকশন সম্বলিত কম্পিউটার লাগবে। সেখান থেকে আপনি চেক করতে পারেন। তো চলুন, নওগাঁ জেলার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। পাল রাজবংশের শাসনামলে অষ্টম শতাব্দীর শেষের দিকে বা নবম শতকে নির্মিত এই বিহারটি একসময় ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশাল আয়তন, জটিল স্থাপত্য এবং বৌদ্ধ ধর্মের চর্চার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন স্থাপনার অবশেষ এখনও এই স্থানে দেখা যায়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের বৌদ্ধ সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই বিহারটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি স্থাপত্য শৈলীর জন্যও বিখ্যাত। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশের অতীতের সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ এবং দেশের পর্যটন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ।
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদ বাংলাদেশের ইসলামি স্থাপত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন। সুলতানি আমলের এই মসজিদটি কালো ও ধূসর পাথর এবং পোড়ামাটির ইট দিয়ে নির্মিত। মসজিদের মিহরাবের উপর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের নাম খোদাই করা থাকায় ধারণা করা হয়, তাঁর শাসনামলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।
মসজিদের অভ্যন্তরে জ্যামিতিক নকশায় সুন্দর পোড়ামাটির কাজ, মিহরাবের বিভিন্ন ফুল, পাতা, ঝুলন্ত শিকল ও সুন্দর শিল্পকর্ম মুসলিম স্থাপত্য কলার অপূর্ব সমাহার। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ বা টাওয়ার রয়েছে। মসজিদের সামনে একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। বাংলাদেশি ৫ টাকার নোটে কুসুম্বা মসজিদের ছবি ছাপানো থাকায় এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মসজিদটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইসলামগাঁথী গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মসজিদ ও মঠ, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল উদাহরণ। একটি মসজিদ ও একটি মঠ একই স্থানে, পাশাপাশি অবস্থিত থাকা সত্যিই অদ্ভুত। এই স্থাপনাগুলি কেবল স্থাপত্যের দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য নয়, বরং এগুলি ইতিহাস, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সমাজের জটিল বৈচিত্র্যের এক অনন্য মিশ্রণ।
মসজিদটি মুসলিমদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য নির্মিত হলেও, পাশের মঠটিতে বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে যা হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। এই দুই ধর্মের স্থাপনা একই স্থানে একসঙ্গে অবস্থান করা, সে সময়ের সামাজিক ও ধর্মীয় পরিস্থিতির একটি জটিল চিত্র তুলে ধরে।
স্থানীয়দের মতে, মঠটি বিশ্বকর্মা দেবতার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের মান্নত করা হতো। তবে, সময়ের সাথে সাথে এই রীতিগুলি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মসজিদ ও মঠের সঠিক নির্মাণকাল নির্ধারণ করা কঠিন হলেও, ধারণা করা হয় যে, মোঘল আমলে ইসলাম খাঁ নামক এক ব্যক্তি এই এলাকার শাসনকার্যে নিয়োজিত ছিলেন এবং তার আমলেই এই স্থাপনাগুলি নির্মিত হয়েছিল।
শালবন, প্রকৃতির একটি অনন্য উপহার। শাল গাছের একটি বনকে শালবন বলা হয়। এই গাছগুলোর ঘন ছায়া, সবুজ পাতা এবং সুগন্ধি ফুল প্রকৃতি প্রেমীদের মন মাতিয়ে তোলে। শালবনের সৌন্দর্য কেবল চোখে না দেখে মনেও অনুভূত হয়। শালবন শুধু সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এটি পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শাল গাছ মাটির ক্ষয় রোধ করে, বায়ুদূষণ কমায় এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে। শালবনে পাখিদের চিরবিরি, পশুদের দৌড়াদৌড় এবং নানা ধরনের কীটপতঙ্গের আনাগোনা এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে। শালবনে হাঁটাচলা, বসে থাকা বা শুধুমাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
নওগাঁর বলিহার রাজবাড়ী এককালে বাংলার রাজকীয় জীবনের এক জ্বলন্ত প্রমাণ ছিল। এই রাজবাড়ীটি কেবল একটি ভবন নয়, বরং এক সময়ের রাজ্যের শক্তি, সমৃদ্ধি এবং সভ্যতার প্রতীক। বলিহার রাজবাড়ীর স্থাপত্য শৈলী, বিশাল আয়তন এবং জটিল নকশা সেই যুগের শিল্প ও কারুকাজের উচ্চতার পরিচয় বহন করে। রাজবাড়ীর চারপাশে বিস্তীর্ণ বাগান, জলাশয় এবং দুর্গ ছিল যা রাজ্যের শক্তি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল।
বলিহার রাজবাড়ী শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও ছিল। এই রাজবাড়ীতে অনেক ধরনের উৎসব, অনুষ্ঠান এবং সভা সমিতি অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু দিনের পর দিন এই রাজবাড়ী ধ্বংসের মুখে পড়েছে। সময়ের ক্ষয়, যুদ্ধ, অবহেলা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর প্রধান কারণ। আজকে এই রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ আমাদেরকে সেই সময়ের গৌরবময় ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয়। নওগাঁর বলিহার রাজবাড়ী বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর সংরক্ষণ আমাদের দায়িত্ব।
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত হলুদ বিহার একসময় বাংলার বৌদ্ধ সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। এই বিহারের ধ্বংসাবশেষ আজও আমাদেরকে সেই সময়ের গৌরবময় অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়। হলুদ বিহারের বিশাল আয়তন, জটিল স্থাপত্য এবং বৌদ্ধ ধর্মের চর্চার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন স্থাপনার অবশেষ এখনও এই স্থানে দেখা যায়। এই বিহারটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি স্থাপত্য শৈলীর জন্যও বিখ্যাত।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মতো হলুদ বিহারও বাংলাদেশের অতীতের সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সময়ের বিবর্তনে, অবহেলা এবং প্রাকৃতিক কারণে এই বিহারটির অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। আজকে হলুদ বিহারের ধ্বংসাবশেষ আমাদেরকে সেই সময়ের সভ্যতার উচ্চতা এবং এর পরবর্তী পতনের কাহিনী বলে।
এছাড়াও নওগাঁ জেলায় শীতকালীন অনেক শস্য-ফলফলাদি হয়ে থাকে। আপনারা জেনে থাকবেন যে নওগাঁ জেলায় অনেক ধানের আবাদ হয়। আপনি যদি শীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতি জানতে চান তাহলে নওগাঁ জেলার কৃষকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
নওগাঁ জেলায় এসব দর্শনীয়, জনপ্রিয় স্থান ছাড়াও আরও অনেক স্থান রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ বাংলাদেশে পর্যটক হিসেবে ঘুরতে আসলে এসব স্থান পরিদর্শন করে থাকেন। নওগাঁ জেলার ইতিহাস মিশে রয়েছে এসব নিদর্শনের সাথে।
The news has been collected from dhakaalert.com which is a dynamic online platform designed to revolutionize the way businesses find top talent and job seekers. এছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাস ও ৬৪ জেলা সম্পর্কে নানা তথ্য সমূহ জানতে পারেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS